প্রকৃতি নিয়ে যত কথা হৃদয়ে || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। তবে মাঝে মাঝে প্রকৃতির ভিন্ন রূপের কারণে কিছুটা অস্থির হয়ে যাচ্ছি। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, প্রকৃতি আগের মতো নেই এবং যার কারণে কোন কিছুই এখন আর নিয়ম মাফিক হয় না। নিয়ম মাফিক বলতে অতীতের যেমন দেখেছি বা শুনেছি তেমনটা আর নেই। বরং একটু ভিন্নরূপে বার বার আমাদের সামনে আসছে এবং একটু কঠিনভাবে আমাদের সতর্ক করার চেষ্টা করছে। আর আমরা সেটাকে সতর্কতা হিসেবে গ্রহণ না করে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রতিটি বিষয় কিংবা পদক্ষেপ যেমন আমাদের চিন্তা করে ফেলা উচিত, ঠিক তেমনি প্রকৃতির বিষয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্ত আমাদের ভেবে চিন্তে নেয়া উচিত। একটা বাস্তব উদাহরণ দেই, আগের দিনের মানুষজন বাড়ি করার প্রয়োজন হলেও বড় কোন গাছ কাটতে দিতেন না বরং বাড়ির পজিশন পরিবর্তন করে নিতেন। সবুজের প্রভাব কিংবা সৌন্দর্যের ব্যাপারে তারা ছিলেন শতভাগ সচেতন। তারা জানতেন হয়তো গাছ কাটার কারণে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে কিন্তু সেটা কোনভাবেই বাড়ির পরিবেশের জন্য সুখকর হবে না বরং নানাভাবে সেটা অকল্যাণ বয়ে আনবে।
আমরা এখন ঠিক তার উল্টো কাজটি করছি, বাড়ির পরিধি কিংবা নতুনভাবে রূপ করার প্রয়োজন হলেই আশেপাশের সবুজ প্রকৃতি কেটে সাবার করে ফেলি, পুরো বাড়ির দৃশ্যপট পরিবর্তন করে ফেলি। আর তারপর বাড়ির সৌন্দর্য নিয়ে বড়াই করি। অথচ সেটা যে আমাদের পরিবেশের জন্য, বাড়ির পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। আমরা আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করছি আর প্রকৃতি সেটা করবে না তা কিভাবে হয়?
অথচ আমাদের চিন্তা করা উচিত ছিলো প্রকৃতি নিয়ে, প্রকৃতির সজীবতা নিয়ে এবং সর্বোপরি আমাদের আগামী প্রজন্মের নিরাপত্তা নিয়ে। এর আগেও আমি প্রকৃতির নিয়ে একটা পোষ্টে নেচার বাথ নিয়ে বলেছিলাম। যেখানে আমাদের উচিত ছিলো এমন সুন্দর ও সতেজ পরিবেশ বাড়ির চারপাশে ধরে রাখা, যাতে সুযোগ হলেই আমরা সবুজ প্রকৃতির মাঝে ডুবে যেতে পারি, সতেজ ও সজীব নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেদের আলো বেশী প্রফুল্লা রাখার।
যাইহোক, এই জায়গাটা আমার ভীষণ পছন্দের, ইতিপূর্বে অনেক বার এই জায়গার ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। সবুজ ও সুন্দর খেতের পাশ দিয়ে গেছে এই কাঁচা সড়কটা। আমি সব সময়ই এই সড়কটা ধরে হাঁটার চেষ্টা করি আর তার সাথে সতেজ প্রকৃতির দৃশ্য ক্যাপচার করার চেষ্টা করি। কারণ এই জায়গাটায় আসলে আমি সেই লেখার মতো নেচার বাথের অনুভূতি অনুভব করি। হৃদয়ের ভেতরটা অনেক বেশী সতেজ ও সজীব হয়ে উঠে নিমিশেই।
তারিখঃ জুলাই ১১, ২০২৫ইং।
লোকেশনঃ মানিকগঞ্জ, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Wow, @hafizullah, this post is a breath of fresh air! Your reflections on the changing relationship between humans and nature are so insightful and timely. It's powerful how you contrast the past reverence for trees with our current tendency to prioritize construction over conservation.
The photographs beautifully capture the serene beauty of Manikgonj, Dhaka. That road winding through the lush fields looks like the perfect place for a "nature bath"! It's inspiring to see how you find solace and rejuvenation in these natural spaces.
Your point about considering future generations is crucial. This post serves as a gentle but firm reminder to be more mindful of our impact on the environment. Thank you for sharing your perspective and these lovely images! I am sure others will also appreciate the message of your post. Keep creating!